Recent Posts

Saturday, May 14, 2016

””””””””” অবুঝ মন """""""





আমি ছিলাম অবুঝ মনে
সকল কিছুর আশায় 
যতই তুমি চাওনা কেন থাকতে
আমায় ভুলে
বাধবো আমি সুখের বাসা
তোমার স্মৃতির তরে 
হয়তো তুমি উদাস চোখে 
দেখবে আমায় চেয়ে.........

Friday, May 13, 2016

””””””””””””””””””””””””প্রথম ভালোবাসা””””””””””””””””””””



হয়তো তোমায় পাবো না তো
চির দিনের তরে
হ্যতো আমাদের ভালবাসা 
থাকবে পথের মোরে ।।।

হয়তো তুমি ভুলে যাবে
আমায় দেওয়া কখা
হয়তো তুমি নতুন করে 
বাধবে সুখের বাসা ।।।

""""""""" আমি সত্যি বলছি """""""""




আমি সত্যি বলছি 
তোমাকে ভালবেসে আজ আমি ধন্য """

Wednesday, May 11, 2016

তোমার নাম



আমি যখন তোমার নাম মাটিতে লিখলাম ,, 
বৃষ্টিতে ভিজে গেলো ... আকাশে লিখলাম ,, 
আকাশ মেঘে ঢেকে গেলো ...কিন্তু যখনই হৃদয়ে লিখলাম ,,
ঠিক তখনই তুমি আমায় ভুলে গেলে....

Tuesday, May 10, 2016

বিদায় - বেলায়

:::::::::::বিদায়::::::::::

তুমি অমন ক’রে গো বারে বারে জল-ছল-ছল চোখে চেয়ো না,
জল-ছল-ছল চোখে চেয়ো না।
ঐ কাতর কন্ঠে থেকে থেকে শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না,
শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না।।
হাসি দিয়ে যদি লুকালে তোমার সারা জীবনের বেদনা,
আজো তবে শুধু হেসে যাও, আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না।
ঐ ব্যথাতুর আঁখি কাঁদো-কাঁদো মুখ
দেখি আর শুধু হেসে যাও,আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না।
চলার তোমার বাকী পথটুকু-
পথিক! ওগো সুদূর পথের পথিক-
হায়, অমন ক’রে ও অকর”ণ গীতে আঁখির সলিলে ছেয়ো না,
ওগো আঁখির সলিলে ছেয়ো না।।

দূরের পথিক! তুমি ভাব বুঝি
তব ব্যথা কেউ বোঝে না,
তোমার ব্যথার তুমিই দরদী একাকী,
পথে ফেরে যারা পথ-হারা,
কোন গৃহবাসী তারে খোঁজে না,
বুকে ক্ষত হ’য়ে জাগে আজো সেই ব্যথা-লেখা কি?
দূর বাউলের গানে ব্যথা হানে বুঝি শুধু ধূ-ধূ মাঠে পথিকে?
এ যে মিছে অভিমান পরবাসী! দেখে ঘর-বাসীদের ক্ষতিকে!
তবে জান কি তোমার বিদায়- কথায়
কত বুক-ভাঙা গোপন ব্যথায়
আজ কতগুলি প্রাণ কাঁদিছে কোথায়-
পথিক! ওগো অভিমানী দূর পথিক!
কেহ ভালোবাসিল না ভেবে যেন আজো
মিছে ব্যথা পেয়ে যেয়ো না,
ওগো যাবে যাও, তুমি বুকে ব্যথা নিয়ে যেয়ো না।।

কবিতা ৩



আমার আমি লুকিয়েছিল তোমার ভালোবাসায়,
তুমিই আমার মাঝে আসি’
অসিতে মোর বাজাও বাঁশি,
আমার পূজার যা আয়োজন
তোমার প্রাণের হবি।
আমার বাণী জয়মাল্য, রাণি! তোমার সবি।।।

কবিতা ২


আপন জেনে হাত বাড়ালো-
আকাশ বাতাস প্রভাত-আলো,
বিদায়-বেলার সন্ধ্যা-তারা
পুবের অরুণ রবি,-
তুমি ভালোবাস ব’লে ভালোবাসে সবি?

কবিতা



তুমি আমায় ভালোবাসো তাই তো আমি কবি।
আমার এ রূপ-সে যে তোমায় ভালোবাসার ছবি।।

valobashte



যারা খুব সহজে এবং রাড়াতাড়ি রেগে যায়
তারাই সব থেকে বেশি ভালবাসতে জানে
এবং সহজ সরল হয়।।

পারবো না তোমায়,



পারবো না তোমায়,
             কষ্টট দিতে....
পারবো না তোমায়,
            ভুলে জেতে...
পারবো না তোমায়,
      বিদায় জানাতে....
শুধু পারবো, সারা জীবন
তোমায় ভালবাসতে।।।

Sunday, May 8, 2016

eche ndi

Tumi Hina Prithibike Jochona Hin Mone Hi.
Mne Hi Je Kalo Britto Hin,
Onubhuti Gulo Amake Bdle Diche,
Bro Eche Chilo Asbe Tumi,
Kinttu Ki Hlo,
Hariye Gele Sunno Pth Dhore,
Sei Eche Ndir Tire.......

Kosto

Kosto Ke Jodi Bikri Kora Jeto.
Tahole prithibite Sbceye Dhoni bektti Hotam Ami ......


''''''Maya''''''


gvby‡li mv‡_ nvuwm gy‡LK_v ejvUvI  GKUv Biv`vZ|||





মানুষ এর মন চেনা কঠিন।

এই বিশাল আকাশে হাজারো তারার, মাঝে একটি 
চাঁদ চেনা খুব সহজ। কিন্তু বিশাল এই পৃথিবীতে মনের মতন মানুষ চেনা খুব কঠিন।।


I really miss u





তোমার আমার ক্ষনিকের দেখা হয়ে গেল
                                Friendship এর ভাবনা।
জানি তোমার আমার এ Friendship কোন দিন ও টিকবে না।
তোবুও আমি সত্যি বলছি, ভালোবাসি তোমায়।
তুমার ভাবনাই বিভোর  হয়ে আছি দিন আমি।
হয়তো ভুলে গেছ আমায় তুমি।
জানি না আমি কিসের দায়ে, পাগল  হয় তুমার জন্য হয়ে গেছি নিজন।
কোন বন তুমি কিং বা আরন্য, হঠাং করে আমার সপ্নে চলে আসো তুমি সম্নানিত করার যে প্রয়াস।
আমার হৃদয় করবে হাহা কার,  কিন্তু তুমি থাকবে নিবিকার।।।।।

মায়ের



মায়ের
ভালোবাসা ছাড়া নিঃস্বার্থ
ভালোবাসা বলতে কিছু নেই।
এক মাত্র মা ছাড়া কেউ নিঃস্বার্থ
ভাবে কাউকে ভালোবাসতে পারে না।
কারন প্রতিটি মানুষই
ভালোবাসে ভালোবাসা পাওয়ার
জন্যে।
আর যেখানে পাওয়ার
আশা থাকে সেখানে নিঃস্বার্থ
বলা চলে না।
শুধু মা'ই সন্তানদের
ভালোবাসে ভালোবাসা পাওয়ার
আশা না করে।

মা আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি
   আই লাভ ইউ মা

Saturday, May 7, 2016

অ-নামিকা



তোমারে বন্দনা করি
স্বপ্ন-সহচরী
লো আমার অনাগত প্রিয়া,
আমার পাওয়ার বুকে না-পাওয়ার তৃষ্ণা-জাগানিয়া!
তোমারে বন্দনা করি….
হে আমার মানস-রঙ্গিণী,
অনন্ত-যৌবনা বালা, চিরন্তন বাসনা-সঙ্গিনী!
তোমারে বন্দনা করি….
নাম-নাহি-জানা ওগো আজো-নাহি-আসা!
আমার বন্দনা লহ, লহ ভালবাসা….
গোপণ-চারিণী মোর, লো চির-প্রেয়সী!
সৃষ্টি-দিন হ’তে কাঁদ’ বাসনার অন্তরালে বসি’-
ধরা নাহি দিলে দেহে।
তোমার কল্যাণ-দীপ জ্বলিলে না
দীপ-নেভা বেড়া-দেওয়া গেহে।
অসীমা! এলে না তুমি সীমারেখা-পারে!
স্বপনে পাইয়া তোমা’ স্বপনে হারাই বারে বারে
অরুপা লো! রহি হ’য়ে এলে মনে,
সতী হ’য়ে এলে না ক’ ঘরে।
প্রিয় হ’য়ে এলে প্রেমে,
বধূ হয়ে এলে না অধরে!
দ্রাক্ষা-বুকে রহিলে গোপনে তুমি শিরীন্‌ শরাব,
পেয়ালায় নাহি এলে!-
‘উতারো নেকার’-
হাঁকে মোর দুরন্ত কামনা!
সুদুরিকা! দূরে থাক’-ভালোবাসা-নিকটে এসো না।

তুমি নহ নিভে যাওয়া আলো, নহ শিখা।
তুমি মরীচিকা,
তুমি জ্যোতি।-
জন্ম-জন্মান্তর ধরি’ লোকে-লোকান্তরে তোমা’ করেছি আরতি,
বারে বারে একই জন্মে শতবার করি!
যেখানে দেখেছি রূপ,-করেছি বন্দনা প্রিয়া তোমারেই স্মরি’।
রূপে রূপে, অপরূপা, খুঁজেছি তোমায়,
পবনের যবনিকা যত তুলি তত বেড়ে যায়!
বিরহের কান্না-ধোওয়া তৃপ্ত হিয়া ভরি’click here
বারে বারে উদিয়াছ ইন্দ্রধনুসমা,
হাওয়া-পরী
প্রিয় মনোরমা!
ধরিতে গিয়োছি-তুমি মিলায়েছ দূর দিগ্বলয়ে
ব্যথা-দেওয়া রাণী মোর, এলে না ক’ কথা কওয়া হ’য়ে।

চির-দূরে থাকা ওগো চির-নাহি-আসা!
তোমারে দেহের তীরে পাবার দুরাশা
গ্রহ হ’তে গ্রহান্তরে ল’য়ে যায় মোরে!
বাসনার বিপুল আগ্রহে-
জন্ম লভি লোকে-লোকান্তরে!
উদ্বেলিত বুকে মোর অতৃপ্ত যৌবন-ক্ষুধা
উদগ্র কামনা,
জন্ম তাই লভি বারে বারে,
না-পাওয়ার করি আরাধনা!….
যা-কিছু সুন্দর হেরি’ ক’রেছি চুম্বন,
যা-কিছু চুম্বন দিয়া ক’রেছি সুন্দর-
সে-সবার মাঝে যেন তব হরষণ
অনুভব করিয়াছি!-ছুঁয়েছি অধর
তিলোত্তমা, তিলে তিলে!
তোমারে যে করেছি চুম্বন
প্রতি তরুণীর ঠোঁটে
প্রকাশ গোপন।

যে কেহ প্রিয়ারে তার চুম্বিয়াছে ঘুম-ভাঙা রাতে,
রাত্রি-জাগা তন্দ্রা-লাগা ঘুম-পাওয়া প্রাতে,
সকলের সাথে আমি চুমিয়াছি তোমা’
সকলের ঠোঁটে যেন, হে নিখিল-প্রিয়া প্রিয়তমা!
তরু, লতা, পশু, পাখী, সকলের কামনার সাথে
আমার কামনা জাগে,-আমি রমি বিশ্ব-কামনাতে!
বঞ্চিত যাহারা প্রেমে, ভুঞ্জে যারা রতি-
সকলের মাঝে আমি-সকলের প্রেমে মোর গতি!
যে-দিন স্রষ্টার বুকে জেগেছিল আদি সৃষ্টি-কাম,
সেই দিন স্রষ্টা সাথে তুমি এলে, আমি আসিলাম।
আমি কাম, তুমি হ’লে রতি,
তরুণ-তরুণী বুকে নিত্য তাই আমাদের অপরূপ গতি!
কী যে তুমি, কী যে নহ, কত ভাবি-কত দিকে চাই!
নামে নামে, অ-নামিকা, তোমারে কি খুঁজিনু বৃথাই?
বৃথাই বাসিনু ভালো? বৃথা সবে ভালোবাসে মোরে?
তুমি ভেবে যারে বুকে চেপে ধরি সে-ই যায় স’রে।
কেন হেন হয়, হায়, কেন লয় মনে-
যারে ভালো বাসিলাম, তারো চেয়ে ভালো কেহ
বাসিছে গোপনে।

সে বুঝি সুন্দরতর-আরো আরো মধু!
আমারি বধূর বুকে হাসো তুমি হ’য়ে নববধূ।
বুকে যারে পাই, হায়,
তারি বুকে তাহারি শয্যায়
নাহি-পাওয়া হ’য়ে তুমি কাঁদ একাকিনী,
ওগো মোর প্রিয়ার সতিনী।….
বারে বারে পাইলাম-বারে বারে মন যেন কহে-
নহে, এ সে নহে!
কুহেলিকা! কোথা তুমি? দেখা পাব কবে?
জন্মেছিলে জন্মিয়াছ কিম্বা জন্ম লবে?
কথা কও, কও কথা প্রিয়া,
হে আমার যুগে-যুগে না-পাওয়ার তৃষ্ণা-জাগানিয়া!

কহিবে না কথা তুমি! আজ মনে হয়,
প্রেম সত্য চিরন্তন, প্রেমের পাত্র সে বুঝি চিরন্তন নয়।
জন্ম যার কামনার বীজে
কামনারই মাঝে সে যে বেড়ে যায় কল্পতরু নিজে।
দিকে দিকে শাখা তার করে অভিযান,
ও যেন শুষিয়া নেবে আকাশের যত বায়ু প্রাণ।
আকাশ ঢেকেছে তার পাখা
কামনার সবুজ বলাকা!

প্রেম সত্য, প্রেম-পাত্র বহু-আগণন,
তাই-চাই, বুকে পাই, তবু কেন কেঁদে ওঠে মন।
মদ সত্য, পাত্র সত্য নয়!
যে-পাত্রে ঢালিয়া খাও সেই নেশা হয়!
চির-সহচরী!
এতদিনে পরিচয় পেনু, মরি মরি!
আমারি প্রেমের মাঝে রয়েছ গোপন,
বৃথা আমি খুঁজে মরি’ জন্মে জন্মে করিনু রোদন।
প্রতি রূপে, অপরূপা, ডাক তুমি,
চিনেছি তোমায়,
যাহারে বাসিব ভালো-সে-ই তুমি,
ধরা দেবে তায়!
প্রেম এক, প্রেমিকা সে বহু,
বহু পাত্রে ঢেলে পি’ব সেই প্রেম-
সে শরাব লোহু।
তোমারে করিব পান, অ-নামিকা, শত কামনায়,
ভৃঙ্গারে, গোলাসে কভু, কভু পেয়ালায়!

অভিশাপ








যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে -
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
ছবি আমার বুকে বেঁধে
পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে
ফিরবে মরু কানন গিরি,
সাগর আকাশ বাতাস চিরি'
যেদিন আমায় খুঁজবে -
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,
কাহার যেন চেনা-ছোওয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে, -
জাগবে হঠাৎ চমকে!
ভাববে বুঝি আমিই এসে
ব'সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,
ধরতে গিয়ে দেখবে যখন
শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!
বেদনাতে চোখ বুজবে -
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

গাইতে ব'সে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না,
ব'লবে সবাই - "সেই যে পথিক, তার শেখানো গান না?"
আসবে ভেঙে কান্না!
প'ড়বে মনে আমার সোহাগ,
কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ!
প'ড়বে মনে অনেক ফাঁকি
অশ্রু-হারা কঠিন আঁখি
ঘন ঘন মুছবে -
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ'রবে তোমার অঙ্গন,
তুলতে সে-ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ -
কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!
শিউলি ঢাকা মোর সমাধি
প'ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি'!
বুকের মালা ক'রবে জ্বালা
চোখের জলে সেদিন বালা
মুখের হাসি ঘুচবে -
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

কাগজের নৌকা









ছুটি হলে রোজ ভাসাই জলে
কাগজ-নৌকাখানি।
লিখে রাখি তাতে আপনার নাম,
লিখি আমাদের বাড়ি কোন গ্রাম
বড়ো বড়ো ক'রে মোটা অক্ষরে
যতনে লাইন টানি।
যদি সে নৌকা আর-কোনো দেশে
আর-কারো হাতে পড়ে গিয়ে শেষে
আমার লিখন পড়িয়া তখন
বুঝিবে সে অনুমানি
কার কাছ হতে ভেসে এল স্রোতে
কাগজ-নৌকাখানি ।।


আমার নৌকা সাজাই যতনে
শিউলি বকুলে ভরি।
বাড়ির বাগানে গাছের তলায়
ছেয়ে থাকে ফুল সকাল বেলায়,
শিশিরের জল করে ঝলমল্‌
প্রভাতের আলো পড়ি।
সেই কুসুমের অতি ছোটো বোঝা
কোন্‌ দিক-পানে চলে যায় সোজা,
বেলাশেষে যদি পার হয়ে নদী
ঠেকে কোনোখানে যেয়ে -
প্রভাতের ফুল সাঁঝে পাবে কূল
কাগজের তরী বেয়ে ।।


আমার নৌকা ভাসাইয়া জলে
চেয়ে থাকি বসি তীরে।
ছোটো ছোটো ঢেউ উঠে আর পড়ে,
রবির কিরণে ঝিকিমিকি করে,
আকাশেতে পাখি চলে যায় ডাকি,
বায়ু বহে ধীরে ধীরে ।
গগনের তলে মেঘ ভাসে কত
আমারি সে ছোটো নৌকার মতো -
কে ভাসালে তায়, কোথা ভেসে যায়,
কোন দেশে গিয়ে লাগে।
ঐ মেঘ আর তরণী আমার
কে যাবে কাহার আগে ।।


বেলা হলে শেষে বাড়ি থেকে এসে
নিয়ে যায় মোরে টানি
আমি ঘরে ফিরি, থাকি কোনে মিশি,
যেথা কাটে দিন সেথা কাটে নিশি,
কোথা কোন্‌ গাঁয় ভেসে চলে যায়
আমার নৌকাখানি ।
কোন্‌ পথে যাবে কিছু নাই জানা,
কেহ তারে কভু নাহি করে মানা,
ধ'রে নাহি রাখে, ফিরে নাহি ডাকে -
ধায় নব নব দেশে।
কাগজের তরী, তারি 'পরে চড়ি
মন যায় ভেসে ভেসে ।।


রাত হয়ে আসে, শুই বিছানায়,
মুখ ঢাকি দুই হাতে -
চোখ বুঁজে ভাবি এমন আঁধার,
কালী দিয়ে ঢালা নদীর দুধার -
তারি মাঝখানে কোথায় কে জানে
নৌকা চলেছে রাতে।
আকাশের তারা মিটি মিটি করে,
শিয়াল ডাকিছে প্রহরে প্রহরে,
তরীখানি বুঝি ঘর খুঁজি খুঁজি
তীরে তীরে ফিরে ভাসি।
ঘুম লয়ে সাথে চড়েছে তাহাতে
ঘুম-পাড়ানিয়া মাসি ।।
click here

অভিমান




কারে দিব দোষ বন্ধু, কারে দিব দোষ!
বৃথা কর আস্ফালন, বৃথা কর রোষ।
যারা শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্রাণ,
কেহ কভু তাহাদের করে নি সম্মান।
যতই কাগজে কাঁদি, যত দিই গালি,
কালামুখে পড়ে তত কলঙ্কের কালি।
যে তোমারে অপমান করে অহর্নিশ
তারি কাছে তারি 'পরে তোমার নালিশ!
নিজের বিচার যদি নাই নিজহাতে,
পদাঘাত খেয়ে যদি না পার ফিরাতে--
তবে ঘরে নতশিরে চুপ করে থাক্‌,
সাপ্তাহিকে দিগ্‌বিদিকে বাজাস নে ঢাক।
একদিকে অসি আর অবজ্ঞা অটল,
অন্য দিকে মসী আর শুধু অশ্রুজল।
click here

তুই কি আমার দুঃখ হবি?



তুই কি আমার দুঃখ হবি?
এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল
রুখো চুলে পথের ধুলো
চোখের নীচে কালো ছায়া।
সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি।
তুই কি আমার দুঃখ হবি? তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি?
মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি?
তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর
নির্জনতা ভেঙে দিয়ে
ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে
ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি? একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা
কেমন যেন বিষাদ হবি।
তুই কি আমার শুন্য বুকে
দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি?
নরম হাতের ছোঁয়া হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি। নিজের ঠোট কামড়ে ধরা রোদন হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি।
প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায়
কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি।
তুই কি একা আমার হবি? তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি? click here

বষার দিনে

এমন দিনে তারে বলা যায়
          এমন ঘনঘোর বরিষায় -
এমন মেঘস্বরে          বাদল-ঝরঝরে
          তপনহীন ঘন তমসায়।।

          সে কথা শুনিবে না কেহ আর,
          নিভৃত নির্জন চারি ধার।
দুজনে মুখোমুখি          গভীর দুখে দুখি,
          আকাশে জল ঝরে অনিবার -
          জগতে কেহ যেন নাহি আর।।

          সমাজ সংসার মিছে সব,
          মিছে এ জীবনের কলরব।
কেবল আঁখি দিয়ে          আঁখির সুধা পিয়ে
          হৃদয় দিয়ে হৃদি-অনুভব -
          আঁধারে মিশে গেছে আর সব।।

          বলিতে ব্যথিবে না নিজ কান,
          চমকি উঠিবে না নিজ প্রাণ।
সে কথা আঁখিনীরে          মিশিয়া যাবে ধীরে,
          বাদলবায়ে তার অবসান -
          সে কথা ছেয়ে দিবে দুটি প্রাণ।।

          তাহাতে এ জগতে ক্ষতি কার
          নামাতে পারি যদি মনোভার!
শ্রাবণবরিষনে          একদা গৃহকোণে
          দু কথা বলি যদি কাছে তার
          তাহাতে আসে যাবে কিবা কার।।

          আছে তো তার পরে বারো মাস -
          উঠিবে কত কথা, কত হাস।
আসিবে কত লোক,          কত-না দুখশোক,
          সে কথা কোনখানে পাবে নাশ -
          জগৎ চলে যাবে বারো মাস।।

          ব্যাকুল বেগে আজি বহে বায়,
          বিজুলি থেকে থেকে চমকায়।
যে কথা এ জীবনে          রহিয়া গেল মনে
          সে কথা আজি যেন বলা যায়
          এমন ঘনঘোর বরিষায়।।


(কাব্যগ্রন্থঃ সঞ্চয়িতা)

নিঝরের সপ্নভঙ্গ

আজি এ প্রভাতে রবির কর
                    কেমনে পশিল প্রাণের পর,
       কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাতপাখির গান!
    না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।
                        জাগিয়া উঠেছে প্রাণ,
                     ওরে উথলি উঠেছে বারি,
   ওরে প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি।
                    থর থর করি কাঁপিছে ভূধর,
                   শিলা রাশি রাশি পড়িছে খসে,
                   ফুলিয়া ফুলিয়া ফেনিল সলিল
                    গরজি উঠিছে দারুণ রোষে।
                   হেথায় হোথায় পাগলের প্রায়
                   ঘুরিয়া ঘুরিয়া মাতিয়া বেড়ায় -
    বাহিরেতে চায়, দেখিতে না পায় কোথায় কারার দ্বার।
                   কেন রে বিধাতা পাষাণ হেন,
                    চারি দিকে তার বাঁধন কেন!
                   ভাঙ্ রে হৃদয়, ভাঙ্ রে বাঁধন,
                  সাধ্ রে আজিকে প্রাণের সাধন,
                     লহরীর পরে লহরী তুলিয়া
                    আঘাতের পরে আঘাত কর্।
                    মাতিয়া যখন উঠেছে পরান
                  কিসের আঁধার, কিসের পাষাণ!
                     উথলি যখন উঠেছে বাসনা
                     জগতে তখন কিসের ডর!

                     আমি ঢালিব করুণাধারা,
                     আমি ভাঙিব পাষাণকারা,
                আমি জগৎ প্লাবিয়া বেড়াব গাহিয়া
                        আকুল পাগল-পারা।
                  কেশ এলাইয়া, ফুল কুড়াইয়া,
                  রামধনু-আঁকা পাখা উড়াইয়া,
       রবির কিরণে হাসি ছড়াইয়া দিব রে পরান ঢালি।
                    শিখর হইতে শিখরে ছুটিব,
                     ভূধর হইতে ভূধরে লুটিব,
    হেসে খলখল গেয়ে কলকল তালে তালে দিব তালি।
এত কথা আছে, এত গান আছে, এত প্রাণ আছে মোর,
এত সুখ আছে, এত সাধ আছে - প্রাণ হয়ে আছে ভোর।।

      কী জানি কী হল আজি, জাগিয়া উঠিল প্রাণ -
           দূর হতে শুনি যেন মহাসাগরের গান।
                    ওরে, চারি দিকে মোর
                     এ কী কারাগার ঘোর -
      ভাঙ্ ভাঙ্ ভাঙ্ কারা, আঘাতে আঘাত কর্।
            ওরে আজ কী গান গেয়েছে পাখি,
                      এসেছে রবির কর।।click here

Friday, May 6, 2016

ভালোবাসা





ভালোবাসা'- এক শব্দের মিষ্টি অভিব্যক্তি। এত সুন্দর আর কোনো শব্দ বোধহয় অভিধানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর ভালোবাসার সেই মিষ্টি মধুর সময়ে প্রেমিক-প্রেমিকার অনুভূতি নিয়ে যুগে যুগে জন্ম নিয়েছে শত শত গীতিকবিতা। আমাদের বাংলা গানের সুরের ভুবনেও ভালোবাসা এক অনন্য বিষয়বস্তু। বহুগুণী শিল্পীর কাছ থেকে আমরা সময়ে সময়ে পেয়েছি ভালোবাসার গান। 

১৪০০ সাল




আজি 

হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতূহলভরে--
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
আজি নববসন্তের প্রভাতের আনন্দের
লেশমাত্র ভাগ--
আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান,
আজিকার কোনো রক্তরাগ
অনুরাগে সিক্ত করি পারিব কি পাঠাইতে
তোমাদের করে
আজি হতে শতবর্ষ পরে?।


তবু তুমি একবার খুলিয়া দক্ষিণদ্বার
বসি বাতায়নে
সুদূর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি
ভেবে দেখো মনে--
একদিন শতবর্ষ আগে
চঞ্চল পুলকরাশি কোন্‌ স্বর্গ হতে ভাসি
নিখিলের মর্মে আসি লাগে--
নবীন ফাল্গুনদিন সকল বন্ধনহীন
উন্মত্ত অধীর--
উড়ায়ে চঞ্চল পাখা পুষ্পরেণুগন্ধমাখা
দক্ষিণসমীর--
সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙায়ে দিয়েছে ধরা
যৌবনের রাগে
তোমাদের শতবর্ষ আগে।
সেদিন উতলা প্রাণে, হৃদয় মগন গানে,
কবি এক জাগে--
কত কথা পুষ্পপ্রায় বিকশি তুলিতে চায়
কত অনুরাগে
একদিন শতবর্ষ আগে।
আজি হতে শতবর্ষ পরে
এখন করিছে গান সে কোন্‌ নূতন কবি
তোমাদের ঘরে?
আজিকার বসন্তের আনন্দ-অভিবাদন
পাঠায়ে দিলাম তাঁর করে।
আমার বসন্তগান তোমার বসন্তদিনে
ধ্বনিত হউক ক্ষণতরে
হৃদয়স্পন্দনে তব ভ্রমরগুঞ্জনে নব
পল্লবমর্মরে
আজি হতে শতবর্ষ পরে।



২ ফাল্গুন, ১৩০২

কৃষ্ণকলি



কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,  
        কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
মেঘলাদিনে দেখেছিলেম মাঠে  
        কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
ঘোমটা মাথায় ছিলনা তার মোটে,  
মুক্তবেণী পিঠের 'পরে লোটে।
        কালো? তা সে যতই কালো হোক,  
        দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

ঘন মেঘে আঁধার হল দেখে  
        ডাকতেছিল শ্যামল দুটি গাই,
শ্যামা মেয়ে ব্যস্ত ব্যাকুল পদে  
        কুটির হতে ত্রস্ত এল তাই।
আকাশ-পানে হানি যুগল ভুরু  
শুনলে বারেক মেঘের গুরুগুরু।
        কালো? তা সে যতই কালো হোক,  
        দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

পূবে বাতাস এল হঠাত্‍‌ ধেয়ে,
        ধানের ক্ষেতে খেলিয়ে গেল ঢেউ।
আলের ধারে দাঁড়িয়েছিলেম একা,
        মাঠের মাঝে আর ছিল না কেউ।
আমার পানে দেখলে কিনা চেয়ে,
আমি জানি আর জানে সেই মেয়ে।
        কালো? তা সে যতই কালো হোক,
        দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

এমনি করে কাজল কালো মেঘ  
        জ্যৈষ্ঠমাসে আসে ঈশান কোণে।
এমনি করে কালো কোমল ছায়া
        আষাঢ়মাসে নামে তমাল-বনে।
এমনি করে শ্রাবণ-রজনীতে
হঠাত্‍‌ খুশি ঘনিয়ে আসে চিতে।
        কালো? তা সে যতই কালো হোক,
        দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,  
        আর যা বলে বলুক অন্য লোক।
দেখেছিলেম ময়নাপাড়ার মাঠে
        কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
মাথার পরে দেয়নি তুলে বাস,
লজ্জা পাবার পায়নি অবকাশ।
        কালো? তা সে যতই কালো হোক,
        দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।click here

KAKE DIBI

Choker kotha to khose pore Jody
ektu khani haso
hasi dekhlei bole dite pari
valobaso kina baso.
valobasi kotha ta mukhe bolbe na
on no vasay bujhi
chokhe chok rekhe
chokher vector
miner khobor khuji
vasa totter vasa pori na to
pori hridoyer vasa.
eTO kace theke valobasi
Tobu hocce na valobasa
mone mone joto bakko guciye
kabbo hoywce likha
Kali cara ei likhar dhongta
tomr kacei Sikhs
ekhono bojhoni
samne Jabe ki
pechone takabe fire
jedikei jao
jene rakho Ami tomkei rekhec ghire

অনন্ত প্রেম

তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শতবার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার–
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।

যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলন কথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমিররজনী ভেদিয়া তোমারি মুরতি এসে
চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।

আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগলপ্রেমের স্রোতে
অনাদি কালের হৃদয়-উৎস হতে।
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহবিধুর নয়নসলিলে, মিলনমধুর লাজে–
পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।

আজি সেই চির-দিবসের প্রেম অবসান লভিয়াছে,
রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ, নিখিল প্রাণের প্রীতি,
একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে সকল প্রেমের স্মৃতি–
সকল কালের সকল কবির গীতি।

একটি পাখী





একটি পাখী রোজ আমার জানালায়
আস্তে এসে বসে, তাকায় আশেপাশে।
কখনো দেয় শিস, বাড়ায় গলা তার;
আবার কখনোবা পাখাটা ঝাপটায়।
পালকে তার আঁকা কিসের ছবি যেন,
দু’চোখে আছে জমা মেঘের স্মৃতি কিছু;
নদীর স্বপ্নের জলজ কণাগুলি
এখনো তাঁর ঠোটে হয়তো গচ্ছিত।
কাউকে নীড়ে তার এসেছে ফেলে বুঝি?
হয়তো সেই নীড়, আকাশই আস্তানা।
তাই তো চোখ তার এমন গাঢ় নীল,
মেললে পাখা জাগে নীলের উৎসব।
যখন লিখি আমি টেবিলে ঝুঁকে আর
পড়তে বসি বই, তখন সেই পাখি
চকিতে দোল খায় আমার জানালায়-
খাতার পাতা জুড়ে ছড়িয়ে দেয় খুশি।
আমার মৃত্যুর পরেও যদি সেই
সুনীল পাখি আসে আমার জানালায়,
আবার শিস দেয়, আমার বইখাতা
যদি সে ঠোকরায়, দিও না বাধা তাকে।

Thursday, May 5, 2016

valobasha megh




মেঘ ঝড়ে ঝড়ে বৃষ্টি নামে
বৃষ্টির নাম জল হয়ে যায়,
জল উড়ে উড়ে আকাশের গায়ে
ভালবাসা নিয়ে বৃষ্টি সাজায়।

ইচ্ছে গুলো ভবঘুরে হয়ে
চেনা অচেনা হিসেব মেলায়,
ভালবাসা তাই ভিজে একাকার
ভেজা মন থাকে রোদের আশায়। ।।।

Tomar dekha




Sei Tumari Dekha.Harate Dibona To R Ashuk Jotoy Badha..Jotone Rekhechi Tumai Ei Moneri Moni Kothai,Kokhunno Vulo Na Amai..Valobashi Tumai Valobeshe Jabo,,Jonom Jonomer Sathi Hobo..